gv‡qi ‡Kv‡j c«_g C`

Mummum Kids Eid

বছরের পর বছর এভাবেই তোমার ঈদগুলো রঙিন হয়ে উঠুক

সোনামনির প্রথম ঈদ সকালবেলা ঘুম থেকে উঠে দেখি, ছোট্ট...

বিস্তারিত

বছরের পর বছর এভাবেই তোমার ঈদগুলো রঙিন হয়ে উঠুক

Mummum Kids Eid

সোনামনির প্রথম ঈদ সকালবেলা ঘুম থেকে উঠে দেখি, ছোট্ট সোনামনি মিষ্টি হাসি দিয়ে আমাদের দিকে তাকিয়ে আছে। আজ ঈদ! আমাদের ছোট্ট রাজপুত্রের জীবনের প্রথম ঈদ! ঘরে ঈদের রঙিন সাজসজ্জা, সুগন্ধি আতরের মিষ্টি গন্ধ আর খুশির আমেজ যেন চারপাশে ছড়িয়ে আছে। সোনামনি যদিও মাত্র দশ মাসের, কিন্তু আমরা ঠিক করেছি, ওর জন্য ঈদটাকে একেবারে রঙিন ও আনন্দময় করে তুলবো। গত এক সপ্তাহ ধরে সোনামনির জন্য জামা, ছোট্ট টুপি, নরম জুতা সব কিনে রেখেছি। আজ সকালেই ওকে পরিয়ে দেবো ঝলমলে একটা পাঞ্জাবি, সাথে থাকবে ছোট্ট একটা সোনালি বোতামের কটি। -সোনামনির ঈদ প্রস্তুতি আমার স্ত্রী সোনামনিকে কোলে নিয়ে হাসিমুখে বলল, “আজ আমাদের বাবুটার জন্য স্পেশাল দিন!” আমি একপাশ থেকে বললাম, “সোনামনি তো আজ ঈদের রাজকুমার হবে!” নরম তুলতুলে সাদা-পার্পল রঙের পাঞ্জাবিটা গায়ে দিতেই সোনামনি খিলখিল করে হাসতে লাগল। মনে হলো, ও বুঝতে পারছে আজ একটা বিশেষ দিন! ওর ছোট্ট হাতদুটো দিয়ে বোতাম ধরে টানার চেষ্টা করলো, আর আমরাও হেসে ফেললাম। সোনামনির মা ওর ছোট্ট হাতে লোশন মাখিয়ে দিচ্ছিল, আর আমি ওর মাথায় গোলাপজল দিয়ে দিলাম। খুশবুতে ও যেন একটু চমকে উঠল, তারপর আবার হাসলো। এমন হাসি দেখে মন ভরে যায়! -ঈদের সকালে সোনামনি ঈদের নামাজ পড়তে যাওয়ার সময় সোনামনি আমাকে শক্ত করে ধরে থাকলো। মনে হলো, আজকে একা ছাড়বে না। তাই ঠিক করলাম, নামাজ শেষে এসেই ওকে কোলে নিয়ে ঈদের সালামি দেবো। নামাজ শেষে বাড়ি ফিরেই দেখি, সোনামনি মায়ের কোল থেকে নেমে হামাগুড়ি দিয়ে দরজার কাছে এসেছে! ও যেন বুঝতে পারছে যে বাবা এসেছে। আমি দরজা খুলতেই ও খুশিতে ছোট্ট হাতদুটো উঁচিয়ে দিলো—“উঁউউ... বা বা!” আমি তৎক্ষণাৎ ওকে কোলে তুলে নিলাম, গালে আলতো করে চুমু খেয়ে বললাম, “এই নাও, তোমার প্রথম ঈদের সালামি!” ছোট্ট একটা রঙিন খাম ওর হাতে দিলাম। ও তো বুঝতে পারলো না, খাম মুখে ঢুকিয়ে দিল! সবাই হেসে উঠলো। -সোনামনির জন্য ঈদের বিশেষ খাবার ঈদের দিনে খাবারের তো এক বিশাল আয়োজন। কিন্তু সোনামনির জন্য আলাদা ব্যবস্থা করতে হয়েছে। ওর জন্য বানানো হলো নরম সুজির হালুয়া আর খিচুড়ি। এক চামচ মুখে দিতেই ও আনন্দে মাথা নাড়িয়ে দিল। আমাদের পুরো পরিবার ওকে ঘিরে বসে ছিল, আর ও ছিল উৎসবের কেন্দ্রবিন্দু। ওর নানা-নানী, দাদা-দাদী, মামা-মামী সবাই একে একে ওকে কোলে নিয়ে আদর করছিল। ছোট্ট সোনামনি কারো কোলে থাকতেই চাচ্ছিল না, হামাগুড়ি দিয়ে সবার কাছে যেতে চাচ্ছিল। -ঈদের ফটোসেশন এই বিশেষ দিনটা মনে রাখার জন্য একটা ফটোসেশন তো করতেই হবে! সোনামনিকে কোলে নিয়ে আমরা সবাই একসঙ্গে ছবি তুললাম। কখনো ও হাসছে, কখনো অবাক হয়ে ক্যামেরার দিকে তাকিয়ে আছে। ওর ছোট্ট ছোট্ট ভঙ্গিমা আমাদের ঈদকে আরও আনন্দময় করে তুলেছিল। -শেষ বিকেলের সারপ্রাইজ বিকেলে সোনামনির জন্য আমরা বিশেষ কিছু প্ল্যান করেছিলাম। উঠোনে ছোট্ট একটা কিডস পুল বসানো হলো, যেখানে ওর রঙিন বল খেলনা রাখা হলো। পানি দেখে ও যেন একটু অবাক! আমি একটু পানি ছিটিয়ে দিলাম, আর ও খিলখিল করে হাসতে লাগলো। আমরা বুঝতে পারছিলাম, সোনামনি কিছু না বুঝলেও ওর প্রথম ঈদটা সত্যিই ওর জন্য আনন্দের হয়ে উঠেছে। রাত নামার সময় দেখি, সোনামনি ক্লান্ত হয়ে মায়ের কোলে মাথা রেখে ঘুমিয়ে পড়েছে। ওর মুখে শান্তির হাসি।

Mummum Kids Eid

এবার আমার রাজকুমারের প্রথম ঈদ

আমার ছোট্ট রাজকুমার। গত ঈদে সে আমার পেটে ছিল,এবার সে আমার বুকে। ভাবতেই ভালো...

বিস্তারিত

এবার আমার রাজকুমারের প্রথম ঈদ

Mummum Kids Eid

আমার ছোট্ট রাজকুমার। গত ঈদে সে আমার পেটে ছিল,এবার সে আমার বুকে। ভাবতেই ভালো লাগে আমার। পাচ মাসে পড়েছে তার।কিছুক্ষন বসে থাকতে পারে আবার পড়ে যায়। আস্তে আস্তে বড় হচ্ছে সে।এটা তার প্রথম ঈদ হলেও সব বেবিদের যেমন ঈদ হয় তার ঈদ তেমন হবেনা। কারন সে প্রবাসীর ছেলে। ঈদের দিন সে নতুন জামা পড়বে,তার দাদু আর ফুপ্পি তার হাতে সালামি দিবে। সে শক্ত করে মুঠোয় পুরে হয়তো ফেলে দিবে নয়তো মুখে পুড়তে চাইবে। আমাদের সেমাই খাওয়া দেখে সে প্লেটে থাবা দিবে,মুখে দিতে চাইবে। সে তার মায়ের নতুন জামা পড়া দেখে তাকিয়ে হাসবে। তার নানু,নানা, মামা,আন্টিরা সবাই কল দিয়ে দেখবে তাকে। আর সে শুধু তাকিয়ে তাকিয়ে হাসবে। কিন্তু সবার মত সে তার বাবার কোলে চড়তে পারবেনা,বাবার কাছে তার সালামিও নেয়া হবেনা। তার বাবা ভিডিও কলে ছেলেকে দেখে নিজেকে সান্ত্বনা দিবে। কি আর করা সে প্রবাসীর ছেলে তো!

Mummum Kids Eid

বাবার সাথে এইবার আমার প্রথম ঈদ

১ যুগ পর আমার বাবার সাথের প্রথম ঈদ ২০১৩ সালে যিনি আমার জন্মদাতা ...

বিস্তারিত

Mummum Kids Eid

এই ঈদটা আমার জন্য স্পেশাল

এই ঈদে আমার রাজকন্যা আমার সাথে আছে, অনেক জল্পনা কল্পনা আশা-আকাঙ্ক্ষার পর তোকে...

বিস্তারিত

এই ঈদটা আমার জন্য স্পেশাল

Mummum Kids Eid

এই ঈদে আমার রাজকন্যা আমার সাথে আছে, অনেক জল্পনা কল্পনা আশা-আকাঙ্ক্ষার পর তোকে আমি পেয়েছি, যে পাওয়াটা আমার জীবনের শ্রেষ্ঠ পাওয়া। সব সম্পর্কের মধ্যে মা হওয়াটা একটা অন্যরকম তৃপ্তি। যখন তোর মুখটা প্রথম দেখেছি সব কষ্টের মধ্যেও একটা অন্যরকম আনন্দ, যেটা ভাষায় প্রকাশ করা যায় না। একটা একটা করে দিন গুনেছি কবে তুই আসবি। অবশেষে ২৮ জুলাই ২০২৪ তুই আমার কোল জুড়ে আসেছিস। এই রমজান টা ছিল আমার মেয়ের প্রথম রমজান, আর এইট ঈদ টাও ওর প্রথম ঈদ। এখন শুধু ভাবি ঈদের দিনে আমার পরীটাকে কিভাবে সাজাবো। কি কিনে দিবো। জামা জুতা চুড়ি ব্যান্ড নুপুর সব কিছু দিয়ে তোকে পরীর মত সাজাবো। ভাবতেই অন্য রকম লাগতেছে। আর ভাবতেছি এই প্রথম ঈদে আমরার পরীটাকে নিয়ে প্রথম গ্রামের বাড়িতে যাবো। আমি আমার মেয়েকে পেয়ে খুব খুশি। আল্লাহর কাছে লাখ লাখ শুকরিয়া ওকে আমার কোলে আলো করে দিয়েছে। আল্লাহ যেন ওকে হাজার বছর বাঁচিয়ে রাখি, হাজারটা রমজান ঈদ ও হাসি খুশি ভাবে কাটাতে পারে।

Mummum Kids Eid

বছরের পর বছর এভাবেই তোমার ঈদগুলো রঙিন হয়ে উঠুক

সোনামনির প্রথম ঈদ সকালবেলা ঘুম থেকে উঠে দেখি, ছোট্ট...

বিস্তারিত

Mummum Kids Eid

এবার আমার রাজকুমারের প্রথম ঈদ

আমার ছোট্ট রাজকুমার। গত ঈদে সে আমার পেটে ছিল,এবার সে আমার বুকে। ভাবতেই ভালো...

বিস্তারিত

Mummum Kids Eid

বাবার সাথে এইবার আমার প্রথম ঈদ

১ যুগ পর আমার বাবার সাথের প্রথম ঈদ ২০১৩ সালে যিনি আমার জন্মদাতা ...

বিস্তারিত

Mummum Kids Eid

এই ঈদটা আমার জন্য স্পেশাল

এই ঈদে আমার রাজকন্যা আমার সাথে আছে, অনেক জল্পনা কল্পনা আশা-আকাঙ্ক্ষার পর তোকে...

বিস্তারিত

Mummum Kids Eid

জান্নাতের প্রথম ঈদ

এক ভালোবাসার গল্প আলী ও ফাহিমা র দম্পতির জীবনে আজ এক বিশেষ দিন। আজ তাদের ছোট্ট...

বিস্তারিত

Mummum Kids Eid

আদর করে আমারা মনা বলে ডাকি

আমার সোনা মনির নাম- জুলফিকার রহমান অহি। আমার বিয়ের পরে আনন্দ ও হাশি...

বিস্তারিত

Mummum Kids Eid

আমার রাজপুএ সাফওয়ান আফরাজ

আমার রাজপুএ, আমার সুখপাখি যাকে পেয়ে জীবন আমার সম্পূর্ণ আলহামদুলিল্লাহ। তার সাথে...

বিস্তারিত

Mummum Kids Eid

আনন্দের দ্বিগুণ উৎসব

গত কুরবানির ঈদ ছিল আমাদের জীবনের সবচেয়ে স্মরণীয় মুহূর্ত। ঈদের ঠিক দুই দিন আগে, আমাদের ঘর আলো ...

বিস্তারিত

Mummum Kids Eid

আমার শাহাজাদা

আমার একমাত্র ছেলে আজমাইন তাজওয়ার ইউহান। ওকে পেয়ে আমি আমার নতুন জীবন ফিরে পেয়েছি আমার বেঁচে...

বিস্তারিত

Mummum Kids Eid

আমার একটি স্বপ্ন পূরণ হয়েছে

আলহামদুলিল্লাহ, আমার অনেকদিনের স্বপ্ন ছিলো আমার একটি রাজকন্যা হবে, মার্কেট...

বিস্তারিত

Mummum Kids Eid

শুধুমাত্র আমি তার মা হবো

31 August, 2024: এই দিনটি আমার কাছে, কখনো ভুলার মতো নই, কেউ একজন এলো আমায় মা ...

বিস্তারিত

Mummum Kids Eid

অপেক্ষায় সোনামণির প্রথম ঈদ

গল্প এবং জীবন যাই বলি না কেন এই মুহূর্তে আমাদের কেন্দ্রবিন্দু জুড়ে একটি মানুষ আর সে হলো...

বিস্তারিত

Mummum Kids Eid

আমার পরী বাচ্চাটার ১ম ঈদ

আমার টিমটিম সোনা, আমার কলিজা বাবু সেই হিসেবে আমারও ১ম ঈদ মা হওয়ার পর মনে...

বিস্তারিত

Mummum Kids Eid

দিনটি ১৫ সেপ্টেম্বর, ২০২৪

নতুন একটি পরিচয় পেলাম, মা এর পরিচয়। মা হওয়া আমার জীবনের সবচেয়ে পুরস্কৃত এবং চ্যালেঞ্জিং বিষয় ...

বিস্তারিত

Mummum Kids Eid

ফাহাদের প্রথম ঈদ - মায়ের চোখে আনন্দের রঙ

সময় যেন কত দ্রুত পেরিয়ে যায়! মনে হয় এই তো সেদিন আমার ছোট্ট ফাহাদ ...

বিস্তারিত

Mummum Kids Eid

আমার ছেলের এটা প্রথম ঈদ।

আমার ছেলের এটা প্রথম ঈদ। মা বাবা হিসেবে এটা আমাদেরও প্রথম ঈদ। অন্য রকম এক আবেগ...

বিস্তারিত

Mummum Kids Eid

আমার পাখির প্রথম ঈদ

পৃথিবীর আলো ছড়িয়ে পড়ছে ধীরে ধীরে, আর তার সাথে সাথেই আমার ছোট্ট পাখিটা চোখ মেলে তাকায়। ওর মিষ্টি ...

বিস্তারিত

Mummum Kids Eid

জীবন্ত এক খেলনা

প্রথম সন্তান হচ্ছে বাবা-মায়ের জীবনে নতুন এক উচ্ছ্বাস - জীবন্ত এক খেলনা। তার সাথে হাসি খুশিতে সারাটা দিন...

বিস্তারিত

Mummum Kids Eid

আমার রাজকন্যা আমার ঈদ

আমার স্বপ্ন ছিল আমার একটা মেয়ে সন্তান হবে যাকে আমি মন ভোরে ভালোবাসবো এবং মনের মতো ...

বিস্তারিত

Mummum Kids Eid

নতুন একটি পরিচয় পেলাম

দিনটি ১৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ । নতুন একটি পরিচয় পেলাম, মা এর পরিচয়। মা হওয়া আমার জীবনের সবচেয়ে পুরস্কৃত...

বিস্তারিত

Mummum Kids Eid

প্রথম ঈদের রঙিন স্মৃতি

ঈদ আসছে! আর এই ঈদ আমাদের পরিবারের জন্য বিশেষ কিছু হতে চলেছে। আমার ছোট্ট সোনামনির প্রথম ঈদ...

বিস্তারিত

Mummum Kids Eid

আমার ছেলের প্রথম ঈদ আসছে

আফরাজ সবেমাত্র দাঁড়াতে শিখেছে । আগে ঈদ এর আনন্দ শুধু নিজের জামা কাপড় নিয়েই থাকত...

বিস্তারিত

বছরের পর বছর এভাবেই তোমার ঈদগুলো রঙিন হয়ে উঠুক

Mummum Kids Eid

সোনামনির প্রথম ঈদ সকালবেলা ঘুম থেকে উঠে দেখি, ছোট্ট সোনামনি মিষ্টি হাসি দিয়ে আমাদের দিকে তাকিয়ে আছে। আজ ঈদ! আমাদের ছোট্ট রাজপুত্রের জীবনের প্রথম ঈদ! ঘরে ঈদের রঙিন সাজসজ্জা, সুগন্ধি আতরের মিষ্টি গন্ধ আর খুশির আমেজ যেন চারপাশে ছড়িয়ে আছে। সোনামনি যদিও মাত্র দশ মাসের, কিন্তু আমরা ঠিক করেছি, ওর জন্য ঈদটাকে একেবারে রঙিন ও আনন্দময় করে তুলবো। গত এক সপ্তাহ ধরে সোনামনির জন্য জামা, ছোট্ট টুপি, নরম জুতা সব কিনে রেখেছি। আজ সকালেই ওকে পরিয়ে দেবো ঝলমলে একটা পাঞ্জাবি, সাথে থাকবে ছোট্ট একটা সোনালি বোতামের কটি। -সোনামনির ঈদ প্রস্তুতি আমার স্ত্রী সোনামনিকে কোলে নিয়ে হাসিমুখে বলল, “আজ আমাদের বাবুটার জন্য স্পেশাল দিন!” আমি একপাশ থেকে বললাম, “সোনামনি তো আজ ঈদের রাজকুমার হবে!” নরম তুলতুলে সাদা-পার্পল রঙের পাঞ্জাবিটা গায়ে দিতেই সোনামনি খিলখিল করে হাসতে লাগল। মনে হলো, ও বুঝতে পারছে আজ একটা বিশেষ দিন! ওর ছোট্ট হাতদুটো দিয়ে বোতাম ধরে টানার চেষ্টা করলো, আর আমরাও হেসে ফেললাম। সোনামনির মা ওর ছোট্ট হাতে লোশন মাখিয়ে দিচ্ছিল, আর আমি ওর মাথায় গোলাপজল দিয়ে দিলাম। খুশবুতে ও যেন একটু চমকে উঠল, তারপর আবার হাসলো। এমন হাসি দেখে মন ভরে যায়! -ঈদের সকালে সোনামনি ঈদের নামাজ পড়তে যাওয়ার সময় সোনামনি আমাকে শক্ত করে ধরে থাকলো। মনে হলো, আজকে একা ছাড়বে না। তাই ঠিক করলাম, নামাজ শেষে এসেই ওকে কোলে নিয়ে ঈদের সালামি দেবো। নামাজ শেষে বাড়ি ফিরেই দেখি, সোনামনি মায়ের কোল থেকে নেমে হামাগুড়ি দিয়ে দরজার কাছে এসেছে! ও যেন বুঝতে পারছে যে বাবা এসেছে। আমি দরজা খুলতেই ও খুশিতে ছোট্ট হাতদুটো উঁচিয়ে দিলো—“উঁউউ... বা বা!” আমি তৎক্ষণাৎ ওকে কোলে তুলে নিলাম, গালে আলতো করে চুমু খেয়ে বললাম, “এই নাও, তোমার প্রথম ঈদের সালামি!” ছোট্ট একটা রঙিন খাম ওর হাতে দিলাম। ও তো বুঝতে পারলো না, খাম মুখে ঢুকিয়ে দিল! সবাই হেসে উঠলো। -সোনামনির জন্য ঈদের বিশেষ খাবার ঈদের দিনে খাবারের তো এক বিশাল আয়োজন। কিন্তু সোনামনির জন্য আলাদা ব্যবস্থা করতে হয়েছে। ওর জন্য বানানো হলো নরম সুজির হালুয়া আর খিচুড়ি। এক চামচ মুখে দিতেই ও আনন্দে মাথা নাড়িয়ে দিল। আমাদের পুরো পরিবার ওকে ঘিরে বসে ছিল, আর ও ছিল উৎসবের কেন্দ্রবিন্দু। ওর নানা-নানী, দাদা-দাদী, মামা-মামী সবাই একে একে ওকে কোলে নিয়ে আদর করছিল। ছোট্ট সোনামনি কারো কোলে থাকতেই চাচ্ছিল না, হামাগুড়ি দিয়ে সবার কাছে যেতে চাচ্ছিল। -ঈদের ফটোসেশন এই বিশেষ দিনটা মনে রাখার জন্য একটা ফটোসেশন তো করতেই হবে! সোনামনিকে কোলে নিয়ে আমরা সবাই একসঙ্গে ছবি তুললাম। কখনো ও হাসছে, কখনো অবাক হয়ে ক্যামেরার দিকে তাকিয়ে আছে। ওর ছোট্ট ছোট্ট ভঙ্গিমা আমাদের ঈদকে আরও আনন্দময় করে তুলেছিল। -শেষ বিকেলের সারপ্রাইজ বিকেলে সোনামনির জন্য আমরা বিশেষ কিছু প্ল্যান করেছিলাম। উঠোনে ছোট্ট একটা কিডস পুল বসানো হলো, যেখানে ওর রঙিন বল খেলনা রাখা হলো। পানি দেখে ও যেন একটু অবাক! আমি একটু পানি ছিটিয়ে দিলাম, আর ও খিলখিল করে হাসতে লাগলো। আমরা বুঝতে পারছিলাম, সোনামনি কিছু না বুঝলেও ওর প্রথম ঈদটা সত্যিই ওর জন্য আনন্দের হয়ে উঠেছে। রাত নামার সময় দেখি, সোনামনি ক্লান্ত হয়ে মায়ের কোলে মাথা রেখে ঘুমিয়ে পড়েছে। ওর মুখে শান্তির হাসি।

এবার আমার রাজকুমারের প্রথম ঈদ

Mummum Kids Eid

আমার ছোট্ট রাজকুমার। গত ঈদে সে আমার পেটে ছিল,এবার সে আমার বুকে। ভাবতেই ভালো লাগে আমার। পাচ মাসে পড়েছে তার।কিছুক্ষন বসে থাকতে পারে আবার পড়ে যায়। আস্তে আস্তে বড় হচ্ছে সে।এটা তার প্রথম ঈদ হলেও সব বেবিদের যেমন ঈদ হয় তার ঈদ তেমন হবেনা। কারন সে প্রবাসীর ছেলে। ঈদের দিন সে নতুন জামা পড়বে,তার দাদু আর ফুপ্পি তার হাতে সালামি দিবে। সে শক্ত করে মুঠোয় পুরে হয়তো ফেলে দিবে নয়তো মুখে পুড়তে চাইবে। আমাদের সেমাই খাওয়া দেখে সে প্লেটে থাবা দিবে,মুখে দিতে চাইবে। সে তার মায়ের নতুন জামা পড়া দেখে তাকিয়ে হাসবে। তার নানু,নানা, মামা,আন্টিরা সবাই কল দিয়ে দেখবে তাকে। আর সে শুধু তাকিয়ে তাকিয়ে হাসবে। কিন্তু সবার মত সে তার বাবার কোলে চড়তে পারবেনা,বাবার কাছে তার সালামিও নেয়া হবেনা। তার বাবা ভিডিও কলে ছেলেকে দেখে নিজেকে সান্ত্বনা দিবে। কি আর করা সে প্রবাসীর ছেলে তো!

এই ঈদটা আমার জন্য স্পেশাল

Mummum Kids Eid

এই ঈদে আমার রাজকন্যা আমার সাথে আছে, অনেক জল্পনা কল্পনা আশা-আকাঙ্ক্ষার পর তোকে আমি পেয়েছি, যে পাওয়াটা আমার জীবনের শ্রেষ্ঠ পাওয়া। সব সম্পর্কের মধ্যে মা হওয়াটা একটা অন্যরকম তৃপ্তি। যখন তোর মুখটা প্রথম দেখেছি সব কষ্টের মধ্যেও একটা অন্যরকম আনন্দ, যেটা ভাষায় প্রকাশ করা যায় না। একটা একটা করে দিন গুনেছি কবে তুই আসবি। অবশেষে ২৮ জুলাই ২০২৪ তুই আমার কোল জুড়ে আসেছিস। এই রমজান টা ছিল আমার মেয়ের প্রথম রমজান, আর এইট ঈদ টাও ওর প্রথম ঈদ। এখন শুধু ভাবি ঈদের দিনে আমার পরীটাকে কিভাবে সাজাবো। কি কিনে দিবো। জামা জুতা চুড়ি ব্যান্ড নুপুর সব কিছু দিয়ে তোকে পরীর মত সাজাবো। ভাবতেই অন্য রকম লাগতেছে। আর ভাবতেছি এই প্রথম ঈদে আমরার পরীটাকে নিয়ে প্রথম গ্রামের বাড়িতে যাবো। আমি আমার মেয়েকে পেয়ে খুব খুশি। আল্লাহর কাছে লাখ লাখ শুকরিয়া ওকে আমার কোলে আলো করে দিয়েছে। আল্লাহ যেন ওকে হাজার বছর বাঁচিয়ে রাখি, হাজারটা রমজান ঈদ ও হাসি খুশি ভাবে কাটাতে পারে।

জান্নাতের প্রথম ঈদ

Mummum Kids Eid

এক ভালোবাসার গল্প আলী ও ফাহিমা র দম্পতির জীবনে আজ এক বিশেষ দিন। আজ তাদের ছোট্ট জান্নাতের প্রথম ঈদ! সকাল থেকেই ঘরে ঈদের আমেজ। রোদ ঝলমলে সকাল, নতুন জামাকাপড়, সুগন্ধি আতরের ঘ্রাণ, আর রান্নাঘর থেকে আসা সুস্বাদু সেমাইয়ের মিষ্টি গন্ধ—সব মিলিয়ে এক আনন্দঘন পরিবেশ। বাড়ির বড় মেয়ে ফাতেমার খুশিতে ছোটাছুটি করছে, আর আলী ব্যস্ত ঈদের নামাজের প্রস্তুতিতে। ছোট্ট জান্নাত তখনও ঘুমে। মাত্র আট মাস বয়স তার। মা ফাহিমা আদর করে তাকে কোলে তুলে নিলেন, নরম গালে চুমু খেয়ে বললেন, — 'জান্নাত মা, আজ তোমার জীবনের প্রথম ঈদ!' নতুন একটা নীল রঙের ফ্রক পরিয়ে দিলেন মেয়েকে, মাথায় ছোট্ট একটি ব্যান্ড। জান্নাত বড় বড় চোখ মেলে মাকে দেখল, তারপর খিলখিল করে হেসে উঠল। যেন বুঝতে পেরেছে আজকের দিনটা বিশেষ কিছু! বাবা নামাজ পড়ে ফিরেই মেয়েকে কোলে নিলেন, ফাতেমা ছোট বোনের ছোট্ট হাত ধরে বলল, — 'জান্নাত, এই নাও তোমার ঈদি!' হাতের ছোট্ট নোটটি জান্নাত এক চুমোয় মুখে ঢোকাতে চাইছিল, দেখে সবাই হেসে উঠল। সারাদিন আত্মীয়-স্বজন আসতে লাগল, সবাই জান্নাতকে কোলে তুলে আদর করল। খালা-ফুফুরা তার জন্য নতুন জামা এনেছে, দাদু তাকে ছোট্ট সোনার চুড়ি পরিয়ে দিলেন। সন্ধ্যায় পুরো পরিবার মিলে ছবি তুলল। জান্নাত বাবার কোলে বসে হাসছিল, যেন এই খুশির দিনে সবার আনন্দে সে-ও ভাগ বসিয়েছে। এভাবেই জান্নাতের প্রথম ঈদ ভালোবাসা, হাসি আর আনন্দে ভরে থাকল। মা-বাবার মনে এই দিনটি চিরস্মরণীয় হয়ে রইল— তাদের ছোট্ট পরির প্রথম ঈদ, এক অনন্য ভালোবাসার মুহূর্ত!

আদর করে আমারা মনা বলে ডাকি

Mummum Kids Eid

আমার সোনা মনির নাম- জুলফিকার রহমান অহি। আমার বিয়ের পরে আনন্দ ও হাশি খুশির ঈদ বলতে ১১/৪/ ২০২৪ এর ঈদ। আমার সোনা মনি কে নিয়ে এটি ছিলো আমাদের প্রথম ঈদ, যা ভুলবার নয়। আমার সোনা মনি প্রথম ঈদ তার দাদা বাড়িতে গিয়েছিলো, মানে আমাদের গ্রামের এর বাড়িতে, সকালে সবাই ঈদের নামাজে যাবার আগে বাবু ঘুম থেকে উঠে তার পরপরই অহিকে কে গোসল করিয়ে পাঞ্জবী পড়িয়ে দেই, তখন ওর বয়েস ছিলো মাত্র সাত মাস, অহির দাদা ভাই, চাচ্চু, বড় বাবা, বড় মা, দাদি, ফুপুরা সবাই আদর করে কোলে নিয়ে সালামি দিচ্চিলো। ছবি তে যাকে দেখছেন সে আমার সোনামনি (অহি) এগুলো আমার সোনামনির সালামি ছিলো দুপুরে খেয়ে বাবু ঘুমিয়ে গেলো, ঈদের দিন বাবু কে নিয়ে একটু ঘুরতে যাওয়ার জন্য আমারা বের হলাম, টাঙ্গাইলের ২০১ গুমবুজ মসজিদ গোপালপুর , আমাদের গ্রামের বাড়ি টাঙ্গাইলে, সেখানে বাবু খুব খুশি ছিলো মাথা এক পাশ থেকে অন্য পাস করছিলো অন্য রকম পরিবেশ দেখে তার মন টা খুব ফুরফুরে ছিলো। তার বাবা তাকে মসজিদের ভিতরে নিয়ে ছেড়ে দেয় , তখন তো একটু একটু হামাগুড়ি শিখেছে, মসজিদ এর ভিতরে সে তো বড় এটি খোলার মাঠ পেয়ে গেলো, সে এ পাশ থেকে ও পাশ আনন্দের সাথে খুব ছুটাছুটি করতে থাকে, আমার বাবাটার হাসি মাখা মুখ দেখতে দেখতে সন্ধ্যা নেমে এলো, এবং আমরা বাড়ি ফিরে আসলাম, বাড়ি ফেরবার সময় অহি গাড়িতে ঘুমিয়ে যায়, এই ভাবে চলে যায় আমার বাবার সাথে আমার প্রথম ঈদ। আপনারা আমার সন্তানের জন্য দোয়া করবেন, মহান আল্লাহ যেন নেক হায়াৎ দান করেন। (আমিন)

আনন্দের দ্বিগুণ উৎসব

Mummum Kids Eid

গত কুরবানির ঈদ ছিল আমাদের জীবনের সবচেয়ে স্মরণীয় মুহূর্ত। ঈদের ঠিক দুই দিন আগে, আমাদের ঘর আলো করে এলো এক খুদে অতিথি—আমাদের ছোট্ট জাবির। একদিকে নবজাতকের আগমন, অন্যদিকে ঈদের খুশি—দুই আনন্দ একসাথে মিলেমিশে এক অভূতপূর্ব অনুভূতির জন্ম দিয়েছিল। ঈদের সকালটা ছিল একেবারেই অন্যরকম। মসজিদে ঈদের নামাজের তাকবির ধ্বনির সঙ্গে মিলিয়ে জাবিরের ছোট্ট ছোট্ট হাত নড়ছিল, যেন সেও আল্লাহর রহমতের কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছে! নতুন কাপড় পরার বয়স তখনো হয়নি, তাই আমরা ওকে পরিয়ে দিলাম স্নিগ্ধ সাদা কাপড়, যেন এক টুকরো শুভ্রতা আমাদের কোলে এসেছে। আমাদের বাসায় সেই ঈদে কুরবানির গোশতের চেয়ে বেশি মেহমানদারির কেন্দ্রবিন্দু ছিল জাবির। আত্মীয়-স্বজন সবাই এসেছিল এক ঝলক দেখতে। কেউ ওর গাল টিপে দোয়া করছিল, কেউ কপালে চুমু এঁকে দিচ্ছিল। সালামির খামগুলো জমা হচ্ছিল, যদিও জাবির তখনো টাকাপয়সার মূল্য বোঝার মতো বড় হয়নি! ঈদের সবচেয়ে মধুর মুহূর্তটি ছিল যখন ওর ছোট্ট আঙুল আমার হাতের মুঠোয় শক্ত করে ধরে ফেলল—এ যেন জীবনের সবচেয়ে বড় উপহার। সেদিন মনে হলো, ঈদের খুশি শুধু নতুন পোশাক বা সুস্বাদু খাবারের মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়; বরং পরিবারের সঙ্গে কাটানো প্রতিটি মুহূর্তই ঈদের সত্যিকারের আনন্দ। জাবিরের প্রথম ঈদ শুধু ওর জন্যই নয়, আমার জন্যও নতুন এক উপলব্ধি ছিল। মাতৃত্বের প্রতিটা মুহূর্ত যে কতটা সুন্দর আর আবেগঘন, সেটা আমি এই ঈদে নতুন করে উপলব্ধি করলাম। ঈদ মানেই নতুন আনন্দ, আর এবার আমার আনন্দের সবচেয়ে বড় কারণ ছিল আমার ছোট্ট জাবির। আমার প্রথম সন্তান জাবিরের প্রথম ঈদ—একটা স্মৃতি, একটা অনুভূতি, একটা ভালোবাসার গল্প, যা সারাজীবন মনে থাকবে। এই স্মৃতি আজীবন অমলিন থাকবে, যেমন থাকবে আমাদের ছোট্ট জাবিরের মিষ্টি হাসি।

আমার একটি স্বপ্ন পূরণ হয়েছে

Mummum Kids Eid

আলহামদুলিল্লাহ, আমার অনেকদিনের স্বপ্ন ছিলো আমার একটি রাজকন্যা হবে, মার্কেট করতে গেলে প্রায়ই সময় মেয়েদের জামাকাপড়ে মন পড়ে থাকতো আর ভাবতাম ইস্ আমার যদি একটা মেয়ে হতো তাহলে তাকে এই জামা গুলো পরাতে পারতাম আবার মা-মেয়ে একরকম জামা পরতাম এই করতাম সেই করতাম কত কিছু যে ভাবতাম আল্লাহ তায়ালার অশেষ রহমতে আমাদের ঘরে ১০.১০.২৪ তারিখে আমার রাজকন্যার আগমন করে, দেখতে দেখতে আমার মেয়েটার আলহামদুলিল্লাহ ৫ মাস পূর্ণ হয়ে গেলো মনে হয় এই তো সেইদিন তাকে প্রথমবার কোলে নিয়ে আদর করছিলাম এখন আলহামদুলিল্লাহ কত সুন্দর করে হাসে তার বাবা তার জন্য কত্ত কত্ত যে ঈদের শপিং করেছে আমার মেয়েকে এটা পরাবো না ওটা পরাবো এটা নিয়ে কত কথা, আমার ঘরটা আলো করে এসেছে আমাদের মেয়েটা। তার নানা -নানী কত ভালোবাসে তার হাসিতে আমাদের ঘরটা মুখরিত হয়ে যায়,সে যখন কান্না করে তখন সবার মনটা খারাপ হয়ে যায় তার জন্য কি করবো না করবো কত আদর যত্ন তার বাবা তার জন্য কত খেলনা কিনে নিয়ে আসছে যে তার মেয়ে এগুলো নিয়ে খেলবে। আলহামদুলিল্লাহ আল্লাহ তায়ালার কাছে লাখো কোটি শুকরিয়া আমাদের ঘরটা এতোটা সুন্দর ও পরিপাটি করে দেওয়ার জন্য। দোয়া করবেন আমাদের জন্য যেন আমরা সারাজীবন এভাবেই কাটিয়ে দিতে পারি।

অপেক্ষায় সোনামণির প্রথম ঈদ

Mummum Kids Eid

গল্প এবং জীবন যাই বলি না কেন এই মুহূর্তে আমাদের কেন্দ্রবিন্দু জুড়ে একটি মানুষ আর সে হলো আমাদের ছোট্ট রাজপুত্র। গত ১৮ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ আমাদের কোল আলো করে আসে রাজপুত্র রুশায়েদ। গত বছর এই দিনে ও তার আগমনের প্রহর গুনছিলাম আর এ বছর সে আমাদের মাঝে আলো ছড়াচ্ছে নিজ দ্যুতিতে। তার কান্না,তার খিল খিল হাসি সবই যেনো তার উপস্থিতিকে আরো প্রাণবন্ত করে। এ বছরের ঈদটা আমাদের জন্য খুব বেশি স্পেশাল। এই ঈদ যেমন ওর জন্য প্রথম ঈদ তেমনি মা-বাবা হিসেবে আমাদের জন্য ও প্রথম। ওকে নিয়ে যেনো পরিকল্পনার শেষ নেই। বাবাইটার শপিং এর সাথে সবার এত্তো এত্তো গিফটে যেনো ভরপুর। ওর বাবার পাঞ্জাবীর সাথে ম্যাচ করে নেয়া হয়েছে ছোট্ট একটা পাঞ্জাবী, ছোট্ট একটা টুপি, সাথে নেয়া ছোট ছোট জুতো জোড়া যেনো জানান দেয় ঈদের খুব বেশি দেরী নেই। বাবাটা প্রথমবারের মতো টাংগাইল যাবে দাদু বাড়িতে ঈদ করতে। তারপর সে যাবে পাহাড় আর সমুদ্রেঘেরা বন্দর নগরী চট্রগ্রামের নানু বাড়িতে। কত আয়োজন তার আগমনকে ঘিরে এই দুই বাড়িতেই। সৌভাগ্যক্রমে রমজানেই ৬ মাস বয়স পূর্ণ হওয়ায় নানু দাদুর অধীর অপেক্ষা কবে নাতী ঈদে বাড়ি আসবে আর একটু একটু করে তাদের নিজ হাতে সলিড খাওয়াবে। কোলে কোলে ওকে নিয়ে এখানে ওখানে ঘুরে বেড়াবে। আমাদের প্রথম সন্তান এবং ওর প্রথম ঈদ যেনো এক অন্যরকম আবেগের জায়গা। একে তো পরিবারের নতুন সদস্য তার ওপর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। তাই এই মুহূর্তেগুলো স্বরনীয় করে রাখতে অনেক অনেক ছবি তোলা হবে। জীবনে হয়তোবা আরো অনেক ঈদ আসবে যাবে কিন্তু প্রথম ঈদ তো প্রথমই। একটু বেশি ই স্পেশাল। সে দিনে দিনে ছোট্ট থেকে বড় হবে কিন্ত প্রথম ঈদের স্মৃতিতে সে ছোট্ট রাজপুত্রের মতোই থেকে যাবে। আজ থেকে অনেক বছর পরেও এই টুকরো টুকরো স্মৃতির ক্যানভাস যেনো হবে এক অদ্ভূত ভালো লাগার উৎস। প্রত্যাশা একটাই, সন্তানের সাথে আসছে এই ঈদের মুহূর্তগুলো যেনো হয়ে থাকে ভালোবাসাময় সম্পর্কের এক অনন্য প্রতিচ্ছবি।

ফাহাদের প্রথম ঈদ - মায়ের চোখে আনন্দের রঙ

Mummum Kids Eid

সময় যেন কত দ্রুত পেরিয়ে যায়! মনে হয় এই তো সেদিন আমার ছোট্ট ফাহাদ প্রথমবারের মতো আলোর মুখ দেখল। কাঁধে মাথা রেখে ঘুমানোর সেই প্রশান্তি, ছোট্ট হাত দিয়ে আঙুল জড়িয়ে ধরার কোমল স্পর্শ, সব কিছুই আমার পৃথিবী বদলে দিয়েছিল। আজ আমার সেই আদরের ফাহাদ একটু একটু করে বড় হচ্ছে, নতুন কিছু শিখছে, চারপাশের জগৎটা ধীরে ধীরে তার কাছে বিস্ময় হয়ে ধরা দিচ্ছে। এবার তার জীবনের প্রথম ঈদ, আর আমার হৃদয়ের এক বিশেষ অনুভূতির দিন! ঈদের সকালে বাবা যখন নতুন পাঞ্জাবি পরিয়ে কোলে তুলে নেবে, তখন হয়তো ফাহাদ অবাক চোখে সবকিছু দেখবে। নামাজ শেষে আত্মীয়-স্বজন যখন ওকে কোলে নিয়ে আদর করবে, ও হয়তো এক চিলতে হাসি দিয়ে সবার মন ভরিয়ে দেবে। সালামি পেয়ে ছোট্ট হাত দিয়ে সেটা শক্ত করে ধরবে, যেন একটা দামী গুপ্তধন! ঈদের মজার খাবারগুলো দেখে তার চোখ বড় হয়ে যাবে, হয়তো সেমাই বা রুটির ছোট্ট টুকরো নিয়ে নাড়াচাড়া করবে, আবার কিছুটা মুখে পুরে মুখ বিকৃত করে ফেলবে। আমি হাসতে হাসতে বলব, 'আমার বাবু বড় হচ্ছে!' এই ঈদ শুধু উৎসব নয়, এটা আমার ফাহাদের শৈশবের এক অনন্য স্মৃতি। একদিন সে বড় হবে, এই ছোট ছোট মুহূর্তগুলো হারিয়ে যাবে সময়ের স্রোতে, কিন্তু আমার হৃদয়ে চিরকাল গেঁথে থাকবে তার প্রথম ঈদের এই অনাবিল আনন্দ। এই ঈদ আমার ফাহাদের শৈশবের প্রথম রঙ, এক ভালোবাসার উৎসব, এক মায়ের অপার আনন্দের গল্প!

আমার পাখির প্রথম ঈদ

Mummum Kids Eid

পৃথিবীর আলো ছড়িয়ে পড়ছে ধীরে ধীরে, আর তার সাথে সাথেই আমার ছোট্ট পাখিটা চোখ মেলে তাকায়। ওর মিষ্টি হাসিতে আমার সকাল শুরু হয়, যেন পৃথিবীর সব রঙ এসে মিশেছে সেই ছোট্ট মুখে। আমার আফনান আল হিশাম,আমার আদরের আব্বু, আমার হৃদয়ের টুকরো, ওর আব্বুর আর আমার একমাত্র রাজপুত্র। এবারের ঈদ অন্যরকম, কারণ এই প্রথমবার আমার পাখিটা ঈদ উদযাপন করবে। গত বছর এই দিনটায় ও ছিল আমার হৃদয়ের গভীরে, অস্তিত্বের প্রতিটা কোণে লুকিয়ে থাকা এক স্বপ্ন। আমি তখন ঈদের খুশির পাশাপাশি অপেক্ষায় ছিলাম এক নতুন জীবনের, এক অনন্য অনুভূতির। আর আজ, সেই স্বপ্ন আমার বাস্তবতা, আমার পৃথিবীজুড়ে আলো হয়ে আছে। আফনান এখন হামাগুড়ি দিতে শিখেছে। একদিন হয়তো ছোট ছোট পায়ে দৌড়াবে, আমায় জড়িয়ে ধরবে, 'মা' বলে ডাকবে। সেই দিনগুলোর অপেক্ষায় আছি। কিন্তু তার আগেই এলো ওর জীবনের প্রথম ঈদ। ঈদে পরার জন্য ওর আব্বু ম্যাচিং করে পাঞ্জাবি কিনেছে বাবা-ছেলে মিলে টুইনিং করবে বলে। আর আমি ও অপেক্ষায় আছি তাদের বাবা-ছেলের ঈদের দিনের আনন্দময় মুহূর্তের সুন্দর সুন্দর ছবি তোলার জন্য। ঈদের দিন পাখিটা ওর দাদুবাড়ি যাবে। সেখানে সবাই অপেক্ষা করছে ওর জন্য। ওর দাদি, চাচারা, ফুপুরা সবাই চায় ওকে আদর করতে, কোলে নিতে, ভালোবাসায় ভরিয়ে দিতে। সবার মাঝে ছোট্ট পাখিটা হয়তো বিস্মিত হয়ে তাকিয়ে থাকবে, হয়তো খিলখিলিয়ে হাসবে, কিংবা মিষ্টি গলায় বকবক করবে নিজের ভাষায়। তারপর যাবে নানুবাড়ি। নানা-নানু, খালামনি, মামারা সবাই অধীর আগ্রহে দিন গুনছে কবে ও আসবে। সবাই ওকে নতুন নতুন জামা পরিয়ে আদর করবে, হাতে ছোট্ট করে ঈদের সালামি দেবে, আর আফনান ওর মতো করে আনন্দ করবে। আমি জানি না,ওর এই প্রথম ঈদের কতটুকু ও মনে রাখবে, কিন্তু আমার মনে থাকবে চিরদিন। আমি আজীবন মনে রাখবো আমার বুকের ভেতরের এই ভালোবাসার ঢেউ, যে অনুভূতির সাথে কোনো কিছুর তুলনা চলে না। আমি শুধু মহান আল্লাহর কাছে দোয়া করি আমার পাখিটাকে সবসময় সুস্থ রাখুন,ভালো রাখুন। যেন ওর প্রতিটা ঈদ এভাবেই ভালোবাসায়, আনন্দে ভরে থাকে। আমাদের পুরো পরিবার যেনো এভাবেই একসাথে হাসে, কাঁদে,ভালোবাসে।

নতুন একটি পরিচয় পেলাম

Mummum Kids Eid

দিনটি ১৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ । নতুন একটি পরিচয় পেলাম, মা এর পরিচয়। মা হওয়া আমার জীবনের সবচেয়ে পুরস্কৃত এবং চ্যালেঞ্জিং বিষয় । আমি ছিলাম অলস প্রকৃতির, ঘুম প্রিয় মানুষ । এখন আমি আমাকে দেখে নিজেও অবাক হই যে, এই আরাম প্রিও মেয়ে আমি এখন একজন দায়িত্ববান মা । আমি ' ইজিয়ান ' এর মা, এই পরিচয়টা দিতেই এখন আমার বেশি ভালো লাগে ।ইজিয়ান কে আমি বলি মেডিসিন । ইজিয়ান জন্মের পর ওর বাবা, দাদা, দাদি,নানা, নানীর হাসির মেডিসিন এর মতো কাজ করে । বাসায় যেন এখন হাসির আওয়াজ থাকে, আলহামদুলিল্লাহ্ । এবারের ঈদ, ইজিয়ান এর প্রথম ঈদ। আমরা প্ল্যান করেছি এই ঈদে, ইজিয়ান এবং ওর বাবা, দাদার একই পাঞ্জাবী ক্রয় করবে। এছাড়াও ইজিয়ান এর সাথে এই ঈদ টা স্পেশালভাবে পালন করতে আমরা এই ঈদ এর ছুটিতে সমুদ্র বিলাসে যাব। গত বছর যাকে পেট এ নিয়ে রোজা পালন এবং ঈদ উদযাপন করেছিলাম, এবার তাকে সঙ্গে নিয়ে এই দিন গুলো পর করছি, আলহামদুলিল্লাহ্ । আমরা আপনাদের সকলের কাছে দোয়া প্রার্থী।

প্রথম ঈদের রঙিন স্মৃতি

Mummum Kids Eid

ঈদ আসছে! আর এই ঈদ আমাদের পরিবারের জন্য বিশেষ কিছু হতে চলেছে। আমার ছোট্ট সোনামনির প্রথম ঈদ। সোনামনি হয়তো ঠিক বুঝে না ঈদ কী, কিন্তু তার হাসি আর ছোট্ট হাত পা নাড়িয়ে আমাদের প্রতি ভালোবাসা যেন পুরো ঈদকে আরও রঙিন করে তুলেছে। সোনামনি এখন ১০ মাসের, তাই তার জন্য আমাদের ঈদের প্রস্তুতি একদম নতুন এক অভিজ্ঞতা। ঈদ তো শুধু জামা-কাপড়, খাবার আর উপহার নয়, ঈদ আসলে পরিবারের সবাই একত্রে ভালোবাসা, আনন্দ এবং একে অপরের সঙ্গে থাকার সময়। এবারের ঈদ সোনামনির জন্য নতুন অভিজ্ঞতা হয়ে আসবে। প্রথমবারের মতো সোনামনি ঈদ উদযাপন করতে চলেছে, আর সে তো পুরো পৃথিবী বুঝে না, কিন্তু তার ছোট ছোট আচরণই আমাদের কাছে ঈদের আনন্দের প্রতিফলন। ঈদের আগে থেকেই আমাদের ভাবনা শুরু হয়ে গিয়েছে—সোনামনির জন্য কি ধরনের পোশাক কেনা হবে? ও তো এমন ছোট, কিভাবে সাজাবো? তবে, শেষ পর্যন্ত আমি ওর জন্য একটি নরম গোলাপী রঙের জামা কিনলাম, আর গোলাপী প্যান্টের সাথে সেটি খুব সুন্দরভাবে ম্যাচ করে। জামার ডিজাইনটা ছিল একেবারে ছোট্ট রাজকুমারী স্টাইলে— আমার সোনামনি যেন আরো বেশি আলাদা হয়ে উঠে। সোনামনি ঈদের পোশাক ম্যাচিং করে মাথার ব্যান্ড, জুতা কেনা হয়ে গেছে । এই ঈদটি আমাদের জন্য স্মরণীয় হয়ে থাকবে। আমি জানি, সোনামনি হয়তো বুঝবে না দিনটির গুরুত্ব, তবে মুহূর্তগুলো তার জন্য মধুর স্মৃতি হয়ে থাকবে। তার প্রথম ঈদ, প্রথম জামা, প্রথম ঈদে উপহার—সব কিছু দিনটিকে স্মৃতিতে পরিণত করবে। সোনামনি যখন একটু বড় হবে, তখন সে জানবে যে তার প্রথম ঈদ উদযাপন করার দিনটি আমাদের পরিবারে অনেক আনন্দ আর ভালোবাসার গল্প নিয়ে এসেছে। যত দিন যাবে, সোনামনি হয়তো তার নিজের ঈদগুলো পালন করবে, কিন্তু তার প্রথম ঈদ অবশ্যই আমাদের হৃদয়ে অম্লান স্মৃতির মতো থেকে যাবে।

wfwWI ‡÷vwi

d‡Uv M¨vjvwi

Mummum Kids Eid

Mummum Kids Eid

Mummum Kids Eid

Mummum Kids Eid

Mummum Kids Eid

Mummum Kids Eid

Mummum Kids Eid

Mummum Kids Eid

Mummum Kids Eid

Mummum Kids Eid

Mummum Kids Eid

Mummum Kids Eid

Mummum Kids Eid

Mummum Kids Eid

Mummum Kids Eid

Mummum Kids Eid

Mummum Kids Eid

Mummum Kids Eid

Mummum Kids Eid

Mummum Kids Eid

Mummum Kids Eid

Mummum Kids Eid

Mummum Kids Eid

Mummum Kids Eid

Mummum Kids Eid

Mummum Kids Eid